বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫ ২৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পুরুষের বন্ধ্যত্ব বাড়াতে পারে যেসব খাবার

নাজমুল ইসলাম
নাজমুল ইসলাম
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ৪:৩৩ পিএম
পুরুষের বন্ধ্যত্ব বাড়াতে পারে যেসব খাবার

বর্তমানে নারীদের পাশাপাশি পুরুষদের মধ্যেও বন্ধ্যত্বের সমস্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। এর পেছনে রয়েছে অনিয়মিত জীবনযাপন, মদ্যপান, ধূমপান, অতিরিক্ত ওজন, শরীরচর্চার অভাব এবং ভেজাল খাবারের প্রভাব। গবেষণা বলছে, গত ৪০ বছরে পুরুষদের শুক্রাণুর ঘনত্ব অনেকটাই কমে গেছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাস এই সমস্যার একটি বড় কারণ। নিচে এমন কিছু খাবার ও উপাদানের তালিকা দেওয়া হলো, যেগুলো পুরুষের প্রজননক্ষমতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

Article large 1

ক্ষতিকর চর্বি বা ফ্যাটি অ্যাসিড

ট্রান্স ফ্যাটি অ্যাসিড ও অনস্যাচুরেটেড ফ্যাট শুক্রাণু উৎপাদন প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করতে পারে। এই ফ্যাট অণ্ডকোষে জমা হয়ে শুক্রাণুর ঘনত্ব কমিয়ে দিতে পারে এবং তাদের গঠনে ক্ষতি করতে পারে।


প্রক্রিয়াজাত মাংস

Article large 2

বেকন, হটডগ, সালামি বা বার্গারের মতো প্রক্রিয়াজাত মাংসের মধ্যে থাকা রাসায়নিক উপাদান শুক্রাণুর সংখ্যা এবং গতি কমিয়ে দেয়। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত এসব মাংস খেলে প্রজননক্ষমতা কমে যেতে পারে।

চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার

স্টেরয়েডযুক্ত খাবার খাওয়া গবাদি পশুর দুধে অতিরিক্ত ফ্যাট থাকে, যা শুক্রাণুর গঠন, গতি ও স্বাভাবিক চলাচলে সমস্যা তৈরি করতে পারে। ১৮-২২ বছর বয়সী একদল তরুণের ওপর করা সমীক্ষায় এ তথ্য উঠে এসেছে।

ধূমপান ও মদ্যপান

Article large 3

নিয়মিত ধূমপান ও অতিরিক্ত মদ্যপানে শুক্রাণুর গঠন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এমনকি স্পার্ম কাউন্ট কমে যাওয়া, যৌন অনীহা ও বন্ধ্যত্বের ঝুঁকিও বাড়ে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব অভ্যাস যত দ্রুত ত্যাগ করা যায়, ততই ভালো।

সয়া পণ্য

সয়া জাতীয় খাবারে ফাইটোইস্ট্রোজেন নামে এক ধরনের উদ্ভিজ্জ হরমোন থাকে, যা শরীরের প্রাকৃতিক হরমোন ভারসাম্যে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত সয়া গ্রহণ শুক্রাণুর ঘনত্ব হ্রাস করতে পারে।

রাসায়নিকযুক্ত খাবার

শুধু খাবার নয়, উৎপাদন ও সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত রাসায়নিকও শুক্রাণুর জন্য ক্ষতিকর। কীটনাশকযুক্ত ফল-সবজি, প্রক্রিয়াজাত খাদ্যে থাকা রাসায়নিক ও জেনোস্ট্রোজেন উপাদান শুক্রাণুর ঘনত্বে মারাত্মক প্রভাব ফেলে।

Article large 4

স্বাস্থ্যকর ও সুষম খাদ্য গ্রহণ এবং নিয়মিত শরীরচর্চার মাধ্যমে পুরুষের প্রজননক্ষমতা অনেকাংশে বজায় রাখা সম্ভব। তাই ব্যক্তিগত সচেতনতা এবং খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।



Loading...
×